টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছিলেন না কালিয়াকৈর থানার আটাবহ ইউনিয়নের বড়ইছুটি প্রকাশ গ্রামের মরহুম ফরহাদ আলীর স্ত্রী আসমা আক্তার বৃষ্টি।
আসমা জানান, গলব্ল্যাডারের অপারেশন করাতে হবে তার। এ জন্য যে টাকা প্রয়োজন তার কিছুই নেই অসহায় দরিদ্র এ পরিবারটির। দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা বিহীন ঘরে পরে আছেন তিনি।
এমন খবর... ছুটে যান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশ ও আটাবহ ইউনিয়নের ডি এম সদস্যগণ শুক্রবার তার বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নেন তার চিকিৎসার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। তিনি জানান আগামীকাল শনিবার তাকে সফিপুর খাজা বদরুদ্দোজা মর্ডান হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হবে, সবাই তাহার জন্য আল্লাহ কাছে দোয়া করবেন।
মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশ এক জন দরদী, পরোপকারী, আদর্শিক এবং মুক্তকণ্ঠের স্বকীয়তায় উজ্জ্বল বৈশিষ্টজাত মানুষ হিসেবে এতো মানুষের ভীরেও তাকে আলাদা করা যায় অনায়াসে। অবিনাশি জীবনের গভীরতর সত্যের জিজ্ঞাসা মেলে তার কর্মময় সময়াচরণ অনুসরণ করার মাধ্যমে।এই নগরের উচ্চকিত এক কণ্ঠস্বর। মানুষ হিসেবে সাদামাটা, ব্যক্তিত্বে দৃঢ়চেতা, আপসহীন। মুক্ত চিন্তায়, লেখায়, বক্তৃতায় শাণিত প্রানবন্ত একজন। সৃজনশীল কাজে তার দক্ষতা এই শহরে প্রায় সর্বজনবিদিত। তিনি দক্ষ, বিনয়ী এবং মানবিক চেতনার মানুষ হিসেবে সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। নবীন তরুণ যুবরা তার সাথে আন্তরিক মেলামেশা এবং প্রণোদনামূলক আলাপচারিতায় উদ্দীপ্ত হন। যে কোন বয়সীদের সাথে তার মেশার ও মন কেড়ে নেয়ার অসাধারণ যোগ্যতা রয়েছে তার। প্রয়োজনে যেমন কথা বলেন, অপ্রয়োজনে ঠিক নীরব ও শান্ত।কৈশোর থেকে তিন দশকের পদচারণায় এক নাড়ীর টান এই গ্রামের মাটি পানি প্রকৃতি সংস্কৃতি সাহিত্য গণমাধ্যম ও উন্নয়ন পরিক্রমার সাথে।
মানুষের দিকে আন্তরিকতা, মমতা ও ভালবাসা নিয়ে হাত বাড়ান এই মানুষ।তাঁর সকল কাজের সবকিছুতে একটি লক্ষ্য খোঁজে পাওয়া যায়- যার নাম মানবিকতা। নীরবে ও সরবে অনেক কাজ করে চলেছেন এই মানুষটি ।কিন্তু বাহুল্য আওয়াজ নেই কোনকিছুতে। তাঁকে বলতে শুনি- ‘আমার কাছে মানুষই পরম’। তাইতো এই করোনাকালে তাঁর লেখায় দেখতে পাই বিপর্যস্ত পৃথিবীর মানুষের কলরোল এবং সেই সাথে সুসময়ের আশাবাদ আর মানুষ হিসেবে কিংবা কর্তাব্যক্তি হিসেবে প্রত্যেকের করনীয় সম্পর্কে স্পষ্ট মতামত। তার লেখনী আর কথাবার্তা চলমান সময়কে যেন উজ্জীবিত করে।
শহিদুল ইসলাম আকাশ নিজে যেমন বলেন, তেমনি করার ক্ষেত্রেও সবসময় এগিয়ে। যা বিশ্বাস করেন তাই বলেন এবং করে দেখাতে সচেষ্ট এই মানুষটি। করোনাকালের এই সংকটময় সময়ে বসে থাকেন নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্য বেড়িয়ে পড়েন গ্রামে ।খাবার সঙ্কটে অতি কষ্টে থাকা মানুষের খাবার পেতে সহযোগিতা করেন- তা কী প্রশাসন কিংবা ব্যক্তি মানুষের সহযোগিতায়। অতি প্রয়োজনীয় জরুরি খাবারসামগ্রী।নিজের মানবিক চেতনার সংগঠন ‘মানবিক’-এর মাধ্যমে অস্বছল পরিবারগুলোর মাঝে যথাসাধ্য খাদ্য উপহার চলমান রেখেছেন।তিনি তার স্ট্যাটাসগুলোতে জানিয়ে দিয়েছেন মানবিক মানুষগুলোর সাপোর্টের কথা।তাদের এই সহযোগিতায় সেবা দিতে পারছেন বলে তাদের কাছে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের এই অংশগ্রহণ যে অনেক মুল্যবান তা তুলে ধরে মানব সেবায় সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার সনির্বন্ধ আহবান জানাচ্ছেন সবসময়।
প্রকাশক ও সম্পাদক
শাহিনুর রহমান শাহিন
আশুলিয়া সংবাদ
