ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের বহু বাঁধ ভেঙে শত শত গ্রাম প্লাবিত
ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের বহু বাঁধ ভেঙে শত শত গ্রাম প্লাবিত
অর্থনীতি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের উপকূলের বহু বাঁধ ভেঙে শত শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে ভেঙেছে অসংখ্য বাড়িঘর গাছপালা। ওইসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ফসল ও ঘেরের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ণিমায় জোয়ারের তীব্রতায় অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়িঘর গাছপালা।
পটুয়াখালীতে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু জোয়ারে অন্তত দুশত গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। ঘরবাড়ির ও ফসলের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইছামতি, কালিন্দি ও কাকশিয়ালি নদীতে ৫-৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে কালিগঞ্জ, দবহাটা, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। ভোলার লালমোহনে গাছচাপায় কৃষক আবু তাহেরের মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহে নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন ৩ জন।
বরগুনার তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপকূলের হাজারো মানুষ। ভেসে গেছে পুকুর, মাছের ঘের ও ফসলের ক্ষেত।
কঁচা ও বলেশ্বর নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী ও মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রায় ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পদ্মায় ঢেউয়ের তোড়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া দুই নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন দুই ভাগ হয়ে নদীতে ভেসে গেছে।