অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, `দেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত ও ভালো অনলাইনের নাম প্রকাশিত তালিকায় আপনারা পাননি, দেখেননি। আমরা তদন্ত সংস্থাগুলোকে বারবার তাগাদা দিয়েছি ও দিচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত প্রতিবেদন দেয়। কেউ যাতে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়, সেজন্য এই ৩৪টির নাম প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিলাম। যাদের ব্যাপারেই তদন্ত সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ইতিবাচক রিপোর্ট আসবে, সবাই নিবন্ধনের সুযোগ পাবে। এ নিয়ে উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই।`
রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদপরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, `বাংলাদেশের মানুষ করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করেছে, এজন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।`
শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি বলেন, `জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পুত্র ও দ্বিতীয় সন্তান শহীদ শেখ কামাল ভাইয়ের জন্মদিন একইসঙ্গে যেমন আনন্দের, তেমনই বেদনার স্মৃতিবাহী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘঠিত হয়েছিল, তখন পিতা বঙ্গবন্ধু, মাতা বঙ্গমাতা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনিও নির্মমভাবে শহীদ হন। বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হোক, এটিই তার এই পবিত্র জন্মদিনে আমাদের প্রার্থনা।`
ড. হাছান বলেন, `অনলাইন নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা বলেছিলাম যে, ঈদের আগে যতদূর সম্ভব নিবন্ধনের জন্য যোগ্য বিবেচিত অনলাইনগুলোর তালিকা প্রকাশ করবো। সরকারের সিদ্ধান্তে যে প্রক্রিয়াটি আমরা পালন করেছি তা হলো, যতগুলো অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত করেছে, সবগুলোর নাম তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সম্মিলিতভাবে তদন্ত সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আমরা যতগুলোর ব্যাপারে এবার অনাপত্তি পেয়েছি, তার মধ্যে দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ ছাড়া সব অনলাইন নিউজপোর্টালের তালিকা আমরা প্রকাশ করেছি। দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণগুলো আমরা পরে একযোগে প্রকাশ করবো।`
তিনি আরও বলেন, `কোনো অনলাইনগুলো যে উদ্দেশ্যে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন, সেই উদ্দেশ্যে পরিচালিত না হয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলে কিংবা সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো মানা প্রয়োজন সেগুলো না মানলে, সেগুলোর ব্যাপারে তো অবশ্যই তদন্ত সংস্থার রিপোর্ট যে রকম আসবে, সে রকম সিদ্ধান্ত হবে।`
