করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব যখন স্থবির, মানুষ হয়ে পড়ছে কর্মহীন, জীবিকার সন্ধানে যেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে, সেখানে বাসায় বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্রেফ টাইম কাটিয়েই কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা। মাঠের খেলা বন্ধ থাকলেও এই ক্রীড়াবিদরা লকডাউন চলাকালীন শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রাম চালিয়েই যে পরিমাণ টাকা কামাই করেছে তা অবিশ্বাস্য।
অ্যাটেইন (Attain) সংগৃহীত উপাত্ত অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামের ১০ সেরা উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদের তালিকায় শীর্ষে আছেন পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি মোট আয় করেছেন ১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড ( প্রায় ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা)। দুই নম্বরে থাকা লিওনেল মেসির আয় ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা)।
আর ১.১ মিলিয়ন (প্রায় ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা) আয়ে তিন নম্বরে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। এছাড়া সেরা পাঁচে আছেন আমেরিকান বাস্কেটবল গ্রেট শাকুইল ও`নিল (৫৮৩,৬২৮ পাউন্ড) এবং সাবেক ইংলিশ ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম (৪০৫,৩৫৯ পাউন্ড)। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় আছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
এই ব্যাটসম্যান আছেন ৬ নম্বরে। গত ১২ মার্চ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সারাবিশ্ব যখন লকডাউন, তখন বাসায় বসে কোহলি তাঁর স্পন্সরড পোস্টের মাধ্যমে মোট আয় করেছেন ৩৭৯,২৯৪ পাউন্ড। এর মধ্যে প্রতি পোস্ট থেকে আয় ১২৬,৪৩১ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকার মতো। সবমিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ভাবা যায়!
কোহলির পর আছেন সুইডিশ ফুটবলার জালাতান ইব্রাহিমোভিচ (১৮৪, ৪১৩ পাউন্ড), আমেরিকান সাবেক এনবিএ তারকা ডোয়াইন ওয়েড (১৪৩,১৪৬ পাউন্ড), ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজ (১৩৯,৬৯৪ পাউন্ড) এবং ব্রিটিশ বক্সার অ্যান্থনি জশোয়া (১২১,৫০০ পাউন্ড)।